হুমায়ুন কবির, খোকসা/
১৯৭১ সালের ৩১ শে অক্টোবর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বিল বরইচারা নামক স্থানে রাজাকার আল বদরসহ পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বীরমুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম (বদর) এর কমান্ডে এই যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, বীরমুক্তিযোদ্ধা ছমির উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আহসানুজ্জামান জামাল, বীরমুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু বকর, বীরমুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্রী রাম গোপাল, বীরমুক্তিযোদ্ধা খাইরুল ইসলাম ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী (কদা)। সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার আল বদরদের পরাজিত করে অস্ত্র উদ্ধার করেছিল।
এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে বিল বরইচারা স্মৃতিস্তম্ভ চত্ত্বরে এক স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, জেলা পরিষদেরর সাবেক প্রশাসক ও যুদ্ধকালীন ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর বলেন , মুক্তিযোদ্ধাদের কোন দল নেই, ধর্ম নেই, বর্ণ নেই।আমরা বঙ্গবন্ধু’র সৈনিক।শেখ মুজিবুর রহমানের জয়বাংলা ডাকে সারা দিয়ে যুদ্ধ করেছি।দেশের যেকোন ক্রান্তিকালে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, ক্রমেই মুক্তিযোদ্ধা ফুরিয়ে যাচ্ছে।তাই নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
যদুবয়রা ইউনিয়ন কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোকাদ্দেস হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধার সহধর্মীনী ও উপজেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি মমতাজ বেগম, যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আবু মহসিন বরুন, এই যুদ্ধের ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াছার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এটিএম আবুল মনসুর মজনু।
এসময় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বীরমুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। এরআগে অনুষ্ঠানে শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা, জীবত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক সুস্থতা এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা সেকেন্দর আলী।এরপর জাতীয় সংঙ্গীতের তালেতালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে শুরু হয় স্মৃতিচারণ ও আলোচনা অনুষ্ঠান।
Leave a Reply